Pages

Sunday, July 29, 2012

গরমে শীতল ভ্রমণ


Details
গরমে জলের সান্নিধ্য কার না ভালো লাগে। জলের রাজ্যে আনন্দের সঙ্গে বেড়ানোর জন্য ঢাকার কাছেই দুটি মজার জায়গা আছে। এ দুটি নিয়েই কড়চার এবারের বেড়ানো।
ওয়াটার ওয়ার্ল্ড, নন্দন পার্ক
সাভার ছাড়িয়ে চন্দ্রার বাড়ইপাড়ায় আধুনিক বিনোদনকেন্দ্র নন্দন পার্কের জলের রাজ্যটির নাম ‘ওয়াটার ওয়ার্ল্ড’। মজার মজার সব রাইডে এখানে বেড়ানোর ব্যবস্থা আছে। এখানকার ‘ওয়েবপুল’ হলো একটি কৃত্রিম সমুদ্র সৈকত। সাত হাজার বর্গফুটের এই সৈকতে আছে সমুদ্রের মতোই বড় বড় ঢেউ। এত বড় ঢেউয়ের মধ্যেও নামতে কোনো ভয় নেই। টিউবে চড়ে ঢেউয়ের তালে ভেসে বেড়ানো যায় ইচ্ছেমতো।
এখানে আরো আছে ওয়াটার ফান প্লাজা। অবিরল জলধারা এখানে মজা দেয় সবাইকে। ডুম স্লাইড আর আর মাল্টি প্লে জোনেও মজার কমতি নেই।
এখানকার আরেকটি মজার রাইডের নাম ওয়েব রানার। ৭০ ফুট উঁচু থেকে জলময় উঁচু-নিচু পথ পেরিয়ে ধপাস করে পুকুরে পড়ার মজা পাওয়া যাবে এই রাইডটিতে। অনেকটা এর মতোই আরেকটি রাইড হলো ফ্যামিলি কার্ভ স্লাইড। টিউবে চড়ে আঁঁকা বাঁকা পথ পেরিয়ে এটিও নেমে যায় জলভর্তি পুলে।
ওয়াটার ওয়ার্ল্ড পুরোটাই জলের রাজ্য। এখানে জলের রাজ্যে হারিয়ে যেতে কারো কোনো মানা নেই। গরমে শীতল পরশ নিয়ে সকাল-সন্ধ্যা আনন্দ করা যায় জায়গাটিতে। ওয়াটার ওয়ার্ল্ডের পুরোটাই পানির রাজ্য হলেও ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই পানিতে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। জিনিসপত্র রেখে পানিতে নামার জন্য লকারও ভাড়ায় পাওয়া যায়।
ওয়াটার ওয়ার্ল্ডের সময় প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে রাত ৯ টা। আর বছরের সবদিনই খোলা থাকে এটি। ওয়াটার ওয়ার্ল্ডে গেলে ভিজতেই হবে। তাই সঙ্গে বাড়তি পোশাক নিতে হবে। তবে, বাড়তি পোশাক বহনের ঝক্কি এড়াতে চাইলেও উপায় আছে। পার্কের ভেতরেই ভাড়ায় পোশাক পাওয়া যায়।
নন্দন পার্কের সময়সূচি, প্রবেশ ও বিভিন্ন রাইডের মূল্য জানা যাবে (০২-৯৮৯০২৮৩) নম্বরে।
কিভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে নন্দন পার্ক যাওয়ার কয়েকটি রুট আছে। আবাবিল পরিবহন মতিঝিল থেকে ছেড়ে গুলিস্তান, মগবাজার, মহাখালী, বনানী, উত্তরা, আশুলিয়া ইপিজেড হয়ে যায়। আর সুপার বাস মতিঝিল থেকে ছেড়ে গুলিস্তান, শাহবাগ, আসাদগেট, গাবতলী, সাভার, নবীনগর, ইপিজেড হয়ে যায়। ভাড়া ৫০-৬০ টাকা।
‘ওয়াটার কিংডম’, ফ্যান্টাসি কিংডম
আশুলিয়ার জামগড়ার ফ্যান্টাসি কিংডমের ভেতরে আরেকটি মজার রাজ্য ‘ওয়াটার কিংডম’। জলের রাজ্যে বেড়ানোর মজার আর রোমাঞ্চকর সব রাইডে সমৃদ্ধ এ জায়গাটি। রাইড ছাড়াও আছে কৃত্রিম সমুদ্র সৈকত ওয়েবপুলের মতো নানা দেখার ও বেড়ানোর জায়গা। উঁচু একটি জায়গা থেকে আঁঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে পুলে ধপাস করে পড়ার মজা পাওয়া যাবে স্লাইড ওয়ার্ল্ডে। আছে টিউব স্লাইড, যা অনেকটা স্লাইড ওয়ার্ল্ডের মতোই। তবে এখানে স্লাইড পাড়ি দিতে হবে টিউবে চড়ে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে মজা করার জন্য আছে ফ্যামিলি পুল। এখানে পানির তলায় মাছের সঙ্গে বেড়ানোর জন্য মজার জায়গা ভার্চুয়াল অ্যাকুরিয়াম টানেল। এ ছাড়াও ওয়াটার কিংডমে আছে লেজি রিভার, মাল্টি স্লাইড ওয়াটার ফল, ডুম স্লাইড, লস্ট কিংডম, প্লে জোন, ড্যান্সিং জোনের মতো মজার সব রাইড। এখানে যেতে হলে অবশ্যই ভিজতে হবে। তাই সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে বাড়তি পোশাক আর তোয়ালে। তবে এখানে এসব ভাড়ায়ও পাওয়া যাবে। স্নান ও পোশাক বদলানোর জন্য মহিলা ও পুরুষদের আলাদা কক্ষ আছে। ওয়াটার কিংডম বছরের সবদিনই প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে।  ওয়াটার কিংডমের প্রবেশ ও বিভিন্ন রাইডের মূল্য জানা যাবে (০২-৭৭০১৯৪৪-৪৯) এই নম্বরগুলিতে।
কিভাবে যাবেন :যাদের নিজস্ব বাহন নেই, তারা মতিঝিল থেকে মঞ্জিল পরিবহন, হুইল লাইন্স ফ্যান্টাসি কিংডম যায় মগবাজার, মহাখালী, উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর ও আশুলিয়া হয়ে। হানিফ মেট্রো সার্ভিস যায় মতিঝিল থেকে ছেড়ে শাহবাগ, শুক্রাবাদ, আসাদগেট, শ্যামলী, গাবতলী, সাভার ও নবীনগর হয়ে। ভাড়া- ৪০-৫০ টাকা।

লেখক: লেখা ও আলোকচিত্র মুস্তাফিজ মামুন

No comments:

Post a Comment