Pages

Sunday, July 29, 2012

কাশবনে


Details
ঋতুর নিয়মে এখন শরত্।
নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা
আর নিচে শুভ্র কাশফুলে বাতাসের
দোল খাওয়া। দেশের বিভিন্ন
জায়গার নদী তীর, খোলা প্রান্তর
ছেয়ে গেছে কাশফুলে।

সেরকমই কয়েকটি জায়গা নিয়ে
কড়চার এবারের বেড়ানো।
আফতাবনগর
ঢাকা শহরের মধ্যেই আফতাবনগর আবাসিক এলাকার পেছনের দিকটায় ছেয়ে গেছে কাশফুলে। বিটিভি ভবন পেছনে ফেলে রামপুরা সেতু পেরিয়ে ওপার থেকে হাতের ডানে গেলে দেখা মিলবে শুভ্রতায় ঘেরা ভিন্ন এ জগতের।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পেছনেও এখন বাতাসে দোল খেয়ে যায় কাশফুল। কুড়িল ছেড়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একেবারে পেছনের দিকটায় চলে যান। দেখবেন কাশফুলের রাজ্য।    
ওয়াশপুর
ঢাকার কাছেই কাশবনের এক রাজ্যের নাম ওয়াশপুর। মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ পেরিয়ে বসিলা সেতুর আগে হাতের বাঁয়ে গেলে দেখা মিলবে বিস্তীর্ণ এ কাশবনের। এখানে বিভিন্ন হাউজিংয়ের জায়গাগুলোই মূলত এখন পরিণত হয়েছে কাশফুলের বাগানে।
কেরানীগঞ্জ
বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু পেরিয়ে মাওয়া সড়কে গেলে যে দিকেই চোখ যাবে শুধু কাশবন আর কাশবন। এ জায়গার বিভিন্ন আবাসিক এলাকা তৈরির জন্য ফেলা বালুপ্রান্তর কাশফুলে ঢাকা।
মাওয়া
মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ফেরিঘাট পদ্মার পাড়ে, যেকোনো দিকে এগোলেই নদী তীরে চোখে পড়বে কাশফুলের মেলা। নদী ধারে যারা বেড়াতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এ জায়গাই উত্তম। ঢাকার ফুলবাড়িয়া কিংবা বাবুবাজার সেতু থেকে মাওয়াগামী যেকোনো বাসে উঠে নেমে পড়ুন ফেরিঘাটের আগে চৌরাস্তায়। সেখান থেকে ফেরিঘাটকে সামনে রেখে হাতের ডানে কিংবা বাঁয়ের সড়ক ধরে যেকোনো দিকে পদ্মার পাড়ে গেলেই পেয়ে যাবেন কাশবনের রাজ্য। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত অবধি এ পথে বাস চলাচল করে। ভাড়া ৪০-৫০ টাকা।
যমুনার তীরে
আরিচা লঞ্চঘাটের আশপাশের এলাকায় বিস্তর কাশবন। লঞ্চঘাট থেকে হাতের বাঁয়ে যমুনার তীর ঘেঁষে গ্রামের দিকে গেল দেখা মিলবে বিস্তীর্ণ কাশবনের। ঢাকার গাবতলী থেকে শুভযাত্রা ও লাক্সারি বাস সাভির্সে যেতে পারেন আরিচা। ভাড়া ৮০-১০০ টাকা জনপ্রতি।

প্র য়ো জ নী য়  ত থ্য
ঢাকার আশপাশের এসব কাশবনে যেকোনো ছুটির দিনে একটু সময় হাতে নিয়ে বেড়াতে যেতে পারেন। উপভোগ করতে পারেন শরতের শুভ্র স্নিগ্ধ অনুভব। তবে এসব জায়গাগুলো বেশিরভাগই নির্জন ও জনমানবশূন্য। তাই দলে বেশি লোক নিয়ে বেড়াতে যাওয়াই ভালো।  যাবার সময় হালকা খাবার ও পানীয় সঙ্গে নিন। 

আলোকচিত্র ও লেখা: মুস্তাফিজ মামুন

No comments:

Post a Comment