জাহাজ থেকে দেখা স্পিডবোট কক্সবাজারের সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত তো অনেক দেখা হয়েছে। কখনো কি গভীর সমুদ্রের মাঝ থেকে দেখা হয়েছে এসব দৃশ্য? এখন এ সুযোগ করে দিয়েছে ‘কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন’ নামের এক প্রমোদতরী। কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য এটি নতুন সংযোজন। ১৩ ফেব্রুয়ারি এই কেয়ারি ক্রুজের উদ্বোধন করা হয়। প্রতিদিন সকাল ১০টায় শহরের বাঁকখালী নদীর মোহনা অর্থাৎ নুনিয়াছটা বিআইডব্লিউটিএর জেটিঘাট থেকে জাহাজটি সাগরের উদ্দেশে ছুটে চলে। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে সাগরে একাধিকবার প্রমোদ ভ্রমণ।
সকালে বাঁকখালী নদী থেকে যখন জাহাজটি সাগর পানে বেরিয়ে যায়, তখন দুই পাশের সবুজ প্যারাবনের সৌন্দর্য পর্যটকদের বিমোহিত করে। জাহাজের ছাদে দাঁড়িয়ে কিংবা কেবিনের ভেতর চেয়ারে বসে প্যারাবনের ভেতর নানা প্রজাতির পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ কানে বাজে। কাচঢাকা বড় জানালা দিয়ে দেখবেন সাগর থেকে মাছ ধরে ফিরে আসা ট্রলার কিংবা যাত্রীবোঝাই করে মহেশখালীতে যাওয়া লঞ্চ ও স্পিডবোটের ছুটে চলার প্রতিযোগিতা।
বাঁকখালী নদী পেরিয়ে জাহাজটি মহেশখালী সাগর চ্যানেলে এলে অন্য রকম রোমাঞ্চ অনুভূত হয়। ঢেউ কেটে ছুটে চলা জাহাজটা দুলবে অল্প অল্প। তবে এতে ভয়ের কিছু নেই। কারণ, জাহাজটি উত্তাল সাগরে চলার উপযোগী করে বানানো।
মহেশখালী চ্যানেল পেরিয়ে পশ্চিম দিকে একটু এগোলে সামনে পড়ে সোনাদিয়া চ্যানেল। জাহাজের বাইরে বারান্দায় দাঁড়িয়ে সোনাদিয়া, মহেশখালী দ্বীপে বসবাসরত মানুষের জীবনসংগ্রাম, পার্শ্ববর্তী উপকূলে প্যারাবনের সৌন্দর্য দেখার মতো।
সোনাদিয়ার ভেতর দিয়ে পূর্ব থেকে উত্তর দিকে চলে গেছে বহদ্দারকাটা নদী বা খাল। ট্রলারমালিককে স্থানীয় ভাষায় বহদ্দার বলে। কোনো একসময় এই নদীতে জলদস্যুরা এক বহদ্দারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে হত্যা করেছিল। সেই থেকে নদীর নাম বহদ্দারকাটা নদী। এই নদীর উত্তর পাশে স্থাপিত হচ্ছে দেশের সর্ববৃহত্ গভীর সমুদ্রবন্দর। সোনাদিয়ার পশ্চিমে সাগরে নজরে পড়ে শত শত মাছ ধরার নৌকা। জালে আটকে পড়া মাছ ধরে বিক্রির জন্য জেলেরা ছুটছেন উপকূলের দিকে। মহেশখালী গোরকঘাটা বাজারে এই তরতাজা মাছের হাট বসে।
সোনাদিয়ার দক্ষিণ পাশে কক্সবাজার উপকূলের ফদনার ডেইল চর। এই চরেও শত শত ট্রলারের সরগরম উপস্থিতি। কেউ সাগর থেকে ধরে আনা মাছ এই চরে বিক্রি করছে, কেউ আবার ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে সাগরের দিকে ছুটছে। আকাশে দেখবেন গাঙচিল, পানকৌড়ি, সারসসহ নানা পাখির মেলা। সাগরে জাহাজের পাশঘেঁষে আসা-যাওয়া করে অসংখ্য ট্রলার। কপাল ভালো থাকলে দেখা মিলবে ডলফিনের। জাহাজের আগে যেন পথ দেখিয়ে ছুটে চলে এরা। কালো প্রজাতির এই ডলফিনকে স্থানীয় ভাষায় শুশুক বলে।
জাহাজ নিয়ে আরও একটু এগোলে সামনে পড়ে লাবণী পয়েন্ট। কক্সবাজার সৈকতের মূল পয়েন্ট যাকে বলে। এত দিন এই সৈকতে দাঁড়িয়ে সাগর দেখেছেন যাঁরা, এখন সাগর থেকে দাঁড়িয়ে তাঁরা লাবণী পয়েন্টে গোসল করতে নামা কিংবা কূলে দাঁড়িয়ে দৌড়ঝাঁপরত পর্যটক, তাঁদের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা উঁচু পাহাড়, রাডার স্টেশন, লাইট হাউস, দরিয়ানগর দেখতে পাবেন।
শহরের বাঁকখালী নদী থেকে সোনাদিয়া, লাবণী পয়েন্ট, হিমছড়ি হয়ে ইনানী সৈকত পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটারের সাগর পাড়ি দিতে জাহাজটির সময় লাগে প্রায় দেড় ঘণ্টা। আবার ফিরে আসতেও লাগে দেড় ঘণ্টা। আসা-যাওয়ার এই মোট তিন ঘণ্টার সমুদ্রদর্শনে মাথাপিছু লাগে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা। সঙ্গে খাবার, চা-কফি, নাশতা সরবরাহ করা হয়। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে কম টাকায় ভ্রমণের ব্যবস্থা রয়েছে। বেসরকারি ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠান ‘কেয়ারি ট্যুরস অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড’ কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো পর্যটকদের সমুদ্র বিনোদনের জন্য প্রমোদতরীটি পরিচালনা করছে।
কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের পরিচালক এস এম আবু নোমান জানান, ৩১০ জন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক এ প্রমোদতরীটি এখন দিনে দুবার আসা-যাওয়া করছে। ভবিষ্যতে দৈনিক চারবার (সকাল, দুপুর, বিকেল ও রাত) জাহাজটি সাগরে চলাচল করবে।
সকালে বাঁকখালী নদী থেকে যখন জাহাজটি সাগর পানে বেরিয়ে যায়, তখন দুই পাশের সবুজ প্যারাবনের সৌন্দর্য পর্যটকদের বিমোহিত করে। জাহাজের ছাদে দাঁড়িয়ে কিংবা কেবিনের ভেতর চেয়ারে বসে প্যারাবনের ভেতর নানা প্রজাতির পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ কানে বাজে। কাচঢাকা বড় জানালা দিয়ে দেখবেন সাগর থেকে মাছ ধরে ফিরে আসা ট্রলার কিংবা যাত্রীবোঝাই করে মহেশখালীতে যাওয়া লঞ্চ ও স্পিডবোটের ছুটে চলার প্রতিযোগিতা।
বাঁকখালী নদী পেরিয়ে জাহাজটি মহেশখালী সাগর চ্যানেলে এলে অন্য রকম রোমাঞ্চ অনুভূত হয়। ঢেউ কেটে ছুটে চলা জাহাজটা দুলবে অল্প অল্প। তবে এতে ভয়ের কিছু নেই। কারণ, জাহাজটি উত্তাল সাগরে চলার উপযোগী করে বানানো।
মহেশখালী চ্যানেল পেরিয়ে পশ্চিম দিকে একটু এগোলে সামনে পড়ে সোনাদিয়া চ্যানেল। জাহাজের বাইরে বারান্দায় দাঁড়িয়ে সোনাদিয়া, মহেশখালী দ্বীপে বসবাসরত মানুষের জীবনসংগ্রাম, পার্শ্ববর্তী উপকূলে প্যারাবনের সৌন্দর্য দেখার মতো।
সোনাদিয়ার ভেতর দিয়ে পূর্ব থেকে উত্তর দিকে চলে গেছে বহদ্দারকাটা নদী বা খাল। ট্রলারমালিককে স্থানীয় ভাষায় বহদ্দার বলে। কোনো একসময় এই নদীতে জলদস্যুরা এক বহদ্দারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে হত্যা করেছিল। সেই থেকে নদীর নাম বহদ্দারকাটা নদী। এই নদীর উত্তর পাশে স্থাপিত হচ্ছে দেশের সর্ববৃহত্ গভীর সমুদ্রবন্দর। সোনাদিয়ার পশ্চিমে সাগরে নজরে পড়ে শত শত মাছ ধরার নৌকা। জালে আটকে পড়া মাছ ধরে বিক্রির জন্য জেলেরা ছুটছেন উপকূলের দিকে। মহেশখালী গোরকঘাটা বাজারে এই তরতাজা মাছের হাট বসে।
সোনাদিয়ার দক্ষিণ পাশে কক্সবাজার উপকূলের ফদনার ডেইল চর। এই চরেও শত শত ট্রলারের সরগরম উপস্থিতি। কেউ সাগর থেকে ধরে আনা মাছ এই চরে বিক্রি করছে, কেউ আবার ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে সাগরের দিকে ছুটছে। আকাশে দেখবেন গাঙচিল, পানকৌড়ি, সারসসহ নানা পাখির মেলা। সাগরে জাহাজের পাশঘেঁষে আসা-যাওয়া করে অসংখ্য ট্রলার। কপাল ভালো থাকলে দেখা মিলবে ডলফিনের। জাহাজের আগে যেন পথ দেখিয়ে ছুটে চলে এরা। কালো প্রজাতির এই ডলফিনকে স্থানীয় ভাষায় শুশুক বলে।
জাহাজ নিয়ে আরও একটু এগোলে সামনে পড়ে লাবণী পয়েন্ট। কক্সবাজার সৈকতের মূল পয়েন্ট যাকে বলে। এত দিন এই সৈকতে দাঁড়িয়ে সাগর দেখেছেন যাঁরা, এখন সাগর থেকে দাঁড়িয়ে তাঁরা লাবণী পয়েন্টে গোসল করতে নামা কিংবা কূলে দাঁড়িয়ে দৌড়ঝাঁপরত পর্যটক, তাঁদের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা উঁচু পাহাড়, রাডার স্টেশন, লাইট হাউস, দরিয়ানগর দেখতে পাবেন।
শহরের বাঁকখালী নদী থেকে সোনাদিয়া, লাবণী পয়েন্ট, হিমছড়ি হয়ে ইনানী সৈকত পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটারের সাগর পাড়ি দিতে জাহাজটির সময় লাগে প্রায় দেড় ঘণ্টা। আবার ফিরে আসতেও লাগে দেড় ঘণ্টা। আসা-যাওয়ার এই মোট তিন ঘণ্টার সমুদ্রদর্শনে মাথাপিছু লাগে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা। সঙ্গে খাবার, চা-কফি, নাশতা সরবরাহ করা হয়। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে কম টাকায় ভ্রমণের ব্যবস্থা রয়েছে। বেসরকারি ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠান ‘কেয়ারি ট্যুরস অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড’ কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো পর্যটকদের সমুদ্র বিনোদনের জন্য প্রমোদতরীটি পরিচালনা করছে।
কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের পরিচালক এস এম আবু নোমান জানান, ৩১০ জন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক এ প্রমোদতরীটি এখন দিনে দুবার আসা-যাওয়া করছে। ভবিষ্যতে দৈনিক চারবার (সকাল, দুপুর, বিকেল ও রাত) জাহাজটি সাগরে চলাচল করবে।
আব্দুল কুদ্দুস, কক্সবাজার
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ২৩, ২০১০
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ২৩, ২০১০
No comments:
Post a Comment